প্রকাশকের কথা
ইসলামী ব্যাংকিং আর্থিক ব্যস্থার এমন এক পদ্ধতি যা তার লেনদেনে সুদ গ্রহণ ও প্রদান করে না। বরং এর কার্যাবলি এমনভাবে পরিচালনা করে যাতে অর্থনীতিতে ন্যায় বিচার নিশ্চিত হয়।
সম্ভাব্যতা যাচাই, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণার নানা অধ্যায় পেরিয়ে ইসলামী ব্যাংকিং ইতোমধ্যে প্রায়োগিক সফলতা অর্জন করেছে। ইসলামী ব্যাংকিংয়ের অন্তর্নিহিত প্রাণ শক্তি ও নৈতিক মানের গভীরতা এ ব্যবস্থাকে আগামী বিশ্বের মূল ধারার নিরাপদ আর্থিক মডেল হিসেবে তুলে ধরবে- এ আশাবাদ ইতোমধ্যে সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশেও মাত্র তিন দশকের মধ্যে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের দ্রুত প্রসার ঘটেছে এবং আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থার অবদান নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচিত করেছে। ইসলামী ব্যাংকিংয়ের নতুন নতুন প্রডাক্ট উদ্ভাবন ও পদ্ধতিগত উন্নয়নে সব ইসলামী ব্যাংক এবং ইসলামী ব্যাংকিং পরিচালনাকারী অন্যান্য ব্যাংকের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র ইতোমধ্যে সম্প্রসারিত হয়েছে।
ইসলামী ব্যাংকিং ব্যাপক জনসমর্থন পেলেও এর শরিয়াহ প্রতিপালন নিয়ে অনেকের মধ্যে সংশয় রয়ে গেছে এখনো। এর অন্যতম কারণ ইসলামী ব্যাংকিং সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞানের অভাব। ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থা সম্পর্কিত বেশ কিছু সহায়ক গ্রন্থ বাজারে থাকলেও সরাসরি শরিয়াহতের মূল উৎস থেকে নেয়া দলিলসমৃদ্ধ গবেষণা গ্রন্থ বাংলা ভাষায় নেই বললেই চলে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া’র আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রফেসর ড. মাহফুজুর রহমান লিখিত ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থা গ্রন্থটি সেই অভাব পূরণ করবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। যারা কুরআন ও সুন্নাহর দৃষ্টিতে ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থা সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে আগ্রহী, যারা ইসলামী ব্যাংক পরিচালনা করেন এবং এমনকি যারা এ বিষয়ে উচ্চতর গবেষণা করছেন সকলের নিকট এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্রন্থ বলে বিবেচিত হবে।
প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থটির সব কপি বহু আগেই শেষ। ব্যাপক বাজার চাহিদা থাকা সত্ত্বেও কিছুটা দেরিতে করে গ্রন্থটির দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করা হলো। এ সংস্করণে গ্রন্থটির প্রুফ দেখার মতো কষ্টসাধ্য কাজটি করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার বাংলা বিভাগের প্রাক্তন সভাপতি প্রফেসর ড. রহমান হাবিব। আমরা সেজন্য তার নিকট কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি গ্রন্থখানি প্রকাশনার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এম আব্দুল আজিজ
নির্বাহী পরিচালক
বিআইআইটি
There are no reviews yet.