জ্ঞান ইসলামীকরণ স্বরুপ ও প্রয়োগ

লেখকের কথা

সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর রাব্বুল আলামীনের জন্য, যিনি মানব জাতি সৃষ্টি করে দান করেছেন জ্ঞান ও জীবনবিধান আল-ইসলাম। দুরূদ ও সালাম সেই মহান নবী করিম (স.) এর উপর, যিনি সর্বশেষ নবী হিসেবে তা মানব জীবনে বাস্তবায়ন ও প্রয়োগ করেছেন।

মানবজাতি তাদের সৃষ্টির সূচনাকাল থেকে অন্যান্য সৃষ্টির উপর জ্ঞানের মাধ্যমে প্রাধান্য বিস্তার করে। কিন্তু এ জাতিই সত্য জ্ঞানের প্রকৃত উৎস থেকে বিচ্যুত হয়েছে, যুগে যুগে বিভ্রান্ত হয়েছে। এ জাতির মধ্যে মনগড়া অনেক কিছু জ্ঞান হিসেবে চালিয়ে দেয়া হয়েছে। তাই যুগে যুগে জ্ঞান ইসলামীকরণ করতে হয়েছে।

জ্ঞান ইসলামীকরণ (Islamization of Knowledge) আধুনিক বিশ্বে একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্রত্যয়। এ নিয়ে তর্কবিতর্কের শেষ নেই। কিন্তু এর স্বরূপ ও যুগে যুগে এর প্রয়োগ নিয়ে অস্পষ্টতা এড়িয়ে যাওয়ার মত বিষয় নয়। বিশেষত এ কাজটির ইতিবৃত্ত সম্পর্কে ইংরেজী, বাংলা ও আরবী ভাষায় কোন প্রকার বই পাওয়া যায় না, তবে আমেরিকা প্রবাসী ড. জ্বাহা জাবির আলওয়ানী তার একটি ক্ষুদ্র গ্রন্থে এ ব্যাপারে কিছুটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছেন।

সর্বোপরি জ্ঞান ইসলামীকরণ বিষয়ে বাংলায় বই পুস্তকের দৈন্যতা অস্বীকার করা যায় না। এ বিষয়ে আরো গবেষণা এবং পুস্তিকা প্রকাশ হওয়া প্রয়োজন। যাহোক, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে লেকচার দিতে গিয়ে যা সংগ্রহ করেছি, তা

গ্রন্থাকারে রূপ দিতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের বিপুল আগ্রহ ও আবেদনের মুখে। গ্রন্থটি রচনায় কিছু ভুলভ্রান্তি থাকা অস্বাভাবিক নয়, ভবিষ্যতে আল্লাহ পাক সময় সুযোগ দিলে একে আরো পরিমার্জন ও উন্নত করার আকাঙ্খা পোষণ করি। এ গ্রন্থটি যদি পাঠকবর্গের সামান্যতম উপকারে আসে তাহলে আমার পরিশ্রম সার্থক মনে করব। দু’আ করি আল্লাহ পাক যেন আমাদেরকে জ্ঞান ইসলামীকরণের ক্ষেত্রে

অবদান রাখার তাওফীক দান করেন। আমীন।

আবদুর রহমান আনওয়ারী