উন্নয়ন ও ইসলাম

অনুবাদকের কথা

সুন্দর ইংরেজীতে লেখা প্রফেসর খুরশিদ আহমদের ইসলামিক অ্যাপ্রোচ টু ডেভেলপমেন্ট’ পড়ে আমি খানিকটা অভিভূত হয়েছি। বইটিতে এত অল্প পরিসরে এত অধিক তথ্য সংযোজন করে লেখার স্টাইল আমার খুব ভাল লেগেছে। অনধিক চার পাতার এক একটি অধ্যায় পড়ে মনে হয় অনেক কিছু জানলাম। তৃতীয় বিশ্বে প্রয়োগকৃত পাশ্চাত্য উন্নয়ন মডেলের সীমাবদ্ধতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত ইসলামের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে এ বইতে। ইসলামের এ সব বক্তব্য এককভাবে প্রতিটি মুসলিম দেশ, বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর উন্নয়নের জন্য কৌশলপত্র প্রণয়নের উৎস হতে পারে তাও অত্যন্ত সাবলীলভাবে দেখিয়েছেন প্রফেসর আহমদ। মুসলিম উম্মাহর উন্নয়ন বিষয়ে চিন্তাশীল যে কোন মুসলিম বইটি পড়ে এক ধরনের আত্মপ্রত্যয় অনুভব করবেন সন্দেহ নেই।

যদি ও বইটি প্রায় একদশক আগে প্রকাশিত এবং সেজন্য উন্নয়ন বিষয়ক তথ্য ও উপাত্ত এক দশকেরও বেশী আগেকার, তথাপিও মুসলিম উম্মাহর উন্নয়নের জন্য যে মৌলিক ভিত্তি বইটিতে উপস্থাপিত হয়েছে তা তৃতীয় বিশ্বের যে কোন মুসলিম দেশের জন্য এখনও সমভাবে কার্যকর।

সেজন্যই কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, এনজিও উন্নয়ন কর্মী, ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নকামী ব্যক্তিবর্গ ও পাঠকবৃন্দের নিকট লেখকের বক্তব্য পৌঁছে দেয়ার জন্য এক ধরনের তাগিদ অনুভব করি। বিশেষত সচেতন ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, যাদের একটি অনুসন্ধানী মন রয়েছে কিন্তু শুধুমাত্র ভাষার সীমাবদ্ধতার কারণে ইংরেজী বই হাতে নিতে চান না।

অনুবাদ করার অনুমতি প্রদানের জন্য আমি ইনষ্টিটিউট অব পলিসি স্টাডিজের নিকট কৃতজ্ঞ। বইটি প্রকাশ করার দায়িত্ব গ্রহণ করায় আমি বাংলাদেশ ইনষ্টিটিউট অব ইসলামিক থ্যটের নিকট ঋণী। যে কোন ধরনের ভুল-ত্রুটি পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের কাছ থেকে জানতে পারলে বইটির আগামী সংস্করণ আরও উন্নততর হবে বলে আশা করি।

মাসুমা বেগম