ইসলামে নৈতিকতা ও আচরন

প্রকাশকের কথা

ইসলামি সংস্কৃতি ও সভ্যতা সমগ্র বিশ্বকে মোহাবিষ্ট করে রেখেছিল প্রায় আট শ বছর। বর্তমান সভ্যতার অগ্রগতিতে ইসলামি সভ্যতার অবদান কম নয় মোটেই। অষ্টম শতকে ইউরোপের অন্ধকার যুগে মুসলিম স্পেনের জ্ঞান বিজ্ঞানের উজ্জ্বল আলোকবর্তিকায় অবগাহন করে ইউরোপ নবজীবন লাভ করে এবং শুরু হয় ইউরোপের নব উত্থান।

নৈতিকতা এবং আচরণ- এ দুই-ই মানব সভ্যতার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। ইসলামে এ বিষয়গুলো সমধিক গুরুত্বপূর্ণ। নৈতিকতা ও আচরণের উপাদানগুলোর চর্চা ব্যক্তিজীবন এবং সমাজ জীবনকে সুন্দর, সাবলীল ও গতিময় করে। এসবের আর্থিক মূল্য খুব বেশি না হলেও সামাজিক মূল্য অপরিসীম। ইসলামি সমাজে নৈতিকতা ও আচরণের ছোট খাট বিষয়কেও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয় বলে ইসলামি সমাজ এবং সংস্কৃতি সর্বাঙ্গীন সুন্দর ও শোভা লাভ করেছে। যে সমাজে নৈতিকতার কোন বাছ-বিচার নেই, সে সমাজ অত্যন্ত বিশৃংখল। বইটির লেখক মাওরয়ান ইব্রাহীম আল কায়সি ইসলামের এই গুরুত্বপূর্ণ দিকটি গ্রন্থাবদ্ধ করে পাঠকের হাতে তুলে দেয়ার মাধ্যমে ইসলামি কৃষ্টি এবং সাংস্কৃতিক উৎকর্ষ সাধনে যথার্থ অবদান রেখেছেন।

সংস্কৃতির পরিধি বিরাট। লেখকের এ পুস্তিকাটি মূলত: তাঁর দেশের সাংস্কৃতিক আবহে লেখা। এ জন্য বাংলাভাষী পাঠকদের কাছে কোন কোন বিষয় বৈসাদৃশ্য মনে হতে পারে। কিন্তু তা মূল ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক নয় এ বিষয়টি পাঠককে বিবেচনায় রাখতে হবে।

বইটির অনুবাদক সাংবাদিক শেখ এনামুল হক সাহেব অনেক পরিশ্রম করে বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের কাছে এ বইটি তুলে ধরার সুযোগ করে দিয়েছেন। এ জন্য আমরা তাঁকে মোবারকবাদ জানাই। অনূদিত পাণ্ডুলিপি সম্পাদনার কাজটি করেছেন ড. মুঈনুদ্দীন আহমাদ খান সাহেব। এ জন্য আমরা তার কাছেও কৃতজ্ঞ। ব্যাপক পাঠক চাহিদার প্রেরিক্ষতে বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করা হলো। এতে আমরা পূর্বের ভুলত্রুটি শুধরে নেয়ার চেষ্টা করেছি। যাদের উদ্দেশ্যে আমাদের এ প্রচেষ্টা, বইটি তাঁদের কাজে আসলে আমাদের প্রয়াস সার্থক হবে। আল্লাহ তা’আলা আমাদের এ প্রচেষ্টা কবুল করুন। আমীন।

সেপ্টেম্বর, ২০১০।

প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান ভাইস প্রেসিডেন্ট, বিআইআইটি